**সত্য ঘটনা অবলম্বনে জনপ্রিয় সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ড্রামা 𝙈𝙤𝙪𝙨𝙚 এর চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য:—**
[𝙉𝙤𝙩𝙚: যারা এখনো 𝙈𝙤𝙪𝙨𝙚 দেখেননি বা দেখতে চাচ্ছেন, তাদেরকে না পড়ার অনুরোধ রইলো।]
থ্রিলার, রোমান্স, ফ্যান্টাসি ও মেলোড্রামা সবজায়গায় কোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রির জয়জয়কার। 𝙄 𝙨𝙖𝙬 𝙩𝙝𝙚 𝙙𝙚𝙫𝙞𝙡, 𝙉𝙤 𝙢𝙚𝙧𝙘𝙮, 𝙊𝙡𝙙 𝙗𝙤𝙮, 𝙁𝙤𝙧𝙜𝙤𝙩𝙩𝙚𝙣, 𝘼 𝙝𝙖𝙧𝙙 𝙙𝙖𝙮 এর মতো জটলা পাকাঁনো টানটান থ্রিলার জনরার সিনেমা দেখা থাকলে আপনার নিশ্চয়ই ধারণা আছে কোরিয়ান সিনেমা সম্পর্কে। তেমনই 𝙈𝙤𝙪𝙨𝙚-এর রাইটার 𝘾𝙝𝙤𝙞-𝙍𝙖𝙣 এর সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের আদলে গড়া এক অনন্য নির্মাণ হচ্ছে 𝙈𝙤𝙪𝙨𝙚 ড্রামাটি। থ্রিল, ইমোশন, টুইস্ট, সাসপেন্স, রোমান্স সবকিছুর কম্বিনেশন এই মাস্টারপিস কে-ড্রামাটি!
[তথ্য গুলো উইকিপিডিয়াসহ বেশকিছু আর্টিকেল ও নিউজপোর্টাল ঘাটাঘাটি করে বিস্তারিত জানতে পারলাম।]
🔹সিউলের হোয়াসিং শহরের গেয়ং-গি প্রদেশে এক ব্যক্তি ১৯৮৬-১৯৯৪ পর্যন্ত দুই দশক ধরে ৩০ টি ধ*র্ষণ ও ১৪ জন নারীর হ*ত্যাকান্ড করে। যা ২০১৯ সালের আগপর্যন্ত অমিমাংসিত-ই রয়ে যায়। এটি ইতিহাসে "𝙃𝙬𝙖𝙨𝙚𝙤𝙣𝙜 𝙎𝙚𝙧𝙞𝙖𝙡 𝙈𝙪𝙧𝙙𝙚𝙧" নামে পরিচিত।
𝙈𝙤𝙪𝙨𝙚 এর "𝙎𝙪𝙨𝙚𝙤𝙣𝙜 𝙎𝙚𝙧𝙞𝙖𝙡 𝙈𝙪𝙧𝙙𝙚𝙧" টি এই ঘটনার আদলে অনুপ্রাণিত বলা ধরা হয়। তাছাড়া "𝙃𝙬𝙖𝙨𝙚𝙤𝙣𝙜 𝙎𝙚𝙧𝙞𝙖𝙡 𝙈𝙪𝙧𝙙𝙚𝙧" কেসের ঘটনা অবলম্বনে ২০০৩ সালে জনপ্রিয় কোরিয়ান সিনেমা 𝙈𝙚𝙢𝙤𝙧𝙞𝙚𝙨 𝙤𝙛 𝙢𝙪𝙧𝙙𝙚𝙧 নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি কুখ্যাত মার্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়!
🔹২০০৮ সালে কোরিয়াতে ৮ বছর বয়সী বাচ্চা মেয়ের ৫৭ বছরের এক বয়োবৃদ্ধের ধারা ধ*র্ষন হওয়ার ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যপক সাড়া ফেলে। সাড়া জাগানো এই ঘটনাটি "𝘾𝙝𝙤 𝘿𝙤𝙤-𝙨𝙤𝙤𝙣 𝙘𝙖𝙨𝙚" নামে পরিচিত। এই ঘটনার মাতাল ও মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার অজুহাতে শাস্তি কমিয়ে আসামিকে মাত্র ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই কাহিনি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ডিরেক্টর 'অহ বংয়ি'র ছোট বেলা রেপ কেসটি নির্মাণ করেন। তবে ড্রামায় কাহিনি একটু পরিবর্তন করা হয়েছে। যাতে আসামি পর্যাপ্ত পরিমাণে শাস্তি পায়। "𝘾𝙝𝙤 𝘿𝙤𝙤-𝙨𝙤𝙤𝙣 𝙘𝙖𝙨𝙚" এর আদলে পরবর্তীতে 𝙃𝙤𝙥𝙚 সিনেমা নির্মাণ করা হয়!
🔹সাইকোপ্যাথ কি*লার জুং-বারিউমের ক্যারেক্টার খ্রিষ্টান ধর্মীয় "𝙎𝙚𝙫𝙚𝙣 𝙙𝙚𝙖𝙙𝙡𝙮 𝙨𝙞𝙣𝙨" থেকে নেওয়া। যার অর্থ হচ্ছে— সাতটি মারাত্মক পাপ, (অহংকার, লোভ, কাম, ঈর্ষা, অতিভোজন, ক্রোধ, অলসতা) যাদের মধ্যে এই সাতটি পাপের কোনো একটি থাকে, তাদের হ*ত্যা করা হয়। কিন্তু ড্রামায় এর কন্সেপ্ট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কি*লার যাদের ভিতর এই সাতটি পাপ নেই, তাদেরকেই খুঁজে খুঁজে খু*ন করা হয়। অর্থাৎ 𝙈𝙤𝙪𝙨𝙚 এর সিরিয়াল কি*লার সৃষ্টিকর্তার বিপরীতে গিয়ে তাদের শাস্তি দেয়!
🔹কোরিয়ার ইঞ্চেওন সিটিতে ২০১৭ সালে একটা বাচ্চা মেয়ে কি*ডন্যাপ হয়ে নৃশংসভাবে খু*ন হয় যা "𝙄𝙣𝙘𝙝𝙚𝙤𝙣 𝙀𝙡𝙚𝙢𝙚𝙣𝙩𝙖𝙧𝙮 𝙎𝙘𝙝𝙤𝙤𝙡 𝙈𝙪𝙧𝙙𝙚𝙧 𝘾𝙖𝙨𝙚" নামে পরিচিত। এরপর এই ঘটনার তদন্ত করে একটা ১৭ বছর বয়সী কিশোরী খু*নের দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই মামলার শেষ শুনানির দিনে বাচ্চা মেয়েটির মা খু*নিকে জিজ্ঞেস করেন, "তোমার ভিতর কি কোনো অঅপরাধবোধ কাজ করছে না?"
প্রশ্নের উত্তরে খু*ন করা মেয়েটি জবাব দেয়, "আমার ভিতরে কোনো অনুতাপ-অনুশোচনা নেই। আজকের আবহাওয়া অনেক সুন্দর। আমার আফসোস হচ্ছে এটা ভেবে যে, আমি আজকের চেরি ব্লোজম উপভোগ করতে পারছি না..!"
একটা মানুষ কিভাবে একটা বাচ্চাকে নৃশংসভাবে হ*ত্যা করার পরেও কোনো অনুতাপ ছাড়া এমন উপহাস করে কথা বলতে পারে? যেন এমন ঘটনা তার জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার! তার এই উত্তরে উপস্থিত জনতা তার উপর ক্ষেপে উঠে। আসলে সে কোনো সাধারণ আসামি ছিলো না। সে রক্ত মাংসে গড়া এক সাইকোপ্যাথ। যার ভিতরে সাধারণ মানুষের মতো আবেগ, অপরাধবোধ, অনুতাপ, অনুভূতি কিছুই নেই!
এই ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ডিরেক্টর সুনিপুণভাবে তিনি 𝙈𝙤𝙪𝙨𝙚 এর সাইকোপ্যাথ ক্যারেক্টারটি তৈরি করেন, যা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। যেখানে শেষ পর্যায়ে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে চাইবে। আর এটাই একজন সাইকোপ্যাথ কিলারের জন্য শাস্তি স্বরুপ!
◾বিঃদ্র- উপরোক্ত তথ্য গুলো ড্রামার সাথে বেশকিছু সাদৃশ্য অনুসারে জাস্ট ধারণা করা হয় যে... এগুলো কোরিয়ান বিভিন্ন লোমহর্ষক ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। আর কিছু তথ্য ডিরেক্টরের স্বীকারোক্তি থেকে নেওয়া!
🖋— বর্ষা হায়াৎ
সংগ্রহ : কোরিয়ান_ড্রামা_অ্যান্ড_মুভি_ফ্রিক
সমালোচক রেটিং ➡️৩/৫ ⭐
----------- ☆ ----------- ☆ -----------
ঝকঝকে HD প্রিন্ট আছে ✅
মুভি লিংক কমেন্ট অপশনে 🔜
©️ Movie Hub 🎬
হ্যাপি ওয়াচিং 💜