#Martin : তিন বছরের অপেক্ষার ফল? মার্টিন নিয়ে এলেন ভয়ঙ্কর অ্যাকশন আর বিশাল চমক! ধ্রুব সারজার এই দুর্দান্ত অ্যাকশন ফিল্মটি দেখলে আপনি শুধু তার শক্তি নয়, হৃদয়ও অনুভব করবেন!
🔰 Movie : “Martin”
🔰 Director : A.P. Arjun
🔰 Genre : Action, Drama & Thriller
🔰 IMDB Rate : 8.4/10 💥
❇ গল্প : “মার্টিন” সিনেমার শুরুটা দর্শকদের এক দুর্দান্ত অ্যাকশন দৃশ্য দিয়ে চমকে দেয়, যেখানে পাকিস্তানে একটি আক্রমণ শুরুর সাথে আমরা পরিচিত হই ‘মার্টিন’ নামের এক দুর্ধর্ষ চরিত্রের সঙ্গে। সিনেমার মূল চরিত্র অর্জুন, যে ভারতীয় নেভির অফিসার, তাকে একজন ভয়ংকর অপরাধী মার্টিন হিসেবে ভুল বোঝা হয়। সিনেমার গল্পে দেখা যায়, এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পরে অর্জুন তার স্মৃতি হারিয়ে ফেলে এবং অ্যান্টিরোগ্রেড অ্যামনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়। এই অবস্থায় তার একমাত্র প্রশ্ন—"আমি কে?"।
প্রথমার্ধে অর্জুন তার হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির খোঁজে বের হয় এবং জানতে পারে যে সে পাকিস্তানে এসেছে মার্টিন নামক কাউকে খুঁজতে। তবে গল্পে ধীরে ধীরে একটি বড় মোড় আসে যখন সে আবিষ্কার করে, সে আসলে নিজেই মার্টিন! দ্বিতীয়ার্ধে সিনেমাটি আরও অ্যাকশন-প্যাকড হয়ে ওঠে। মার্টিন এবং অর্জুনের দ্বৈত চরিত্রের মধ্যে সংঘাত আরও গভীর হয় এবং একাধিক সংঘর্ষের মাধ্যমে কাহিনী এগিয়ে যায়। সিনেমার শেষ দৃশ্যে, একটি বিশাল আর্মি ট্যাঙ্কারের সাথে ক্লাইমেক্স শোডাউনে অর্জুনকে দেখা যায় তার নিজের পরিচয় এবং দেশপ্রেমের মধ্যকার দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হতে। তবে সিনেমা তার ক্লাইম্যাক্সে কিছু চমকপ্রদ মুহূর্ত উপস্থাপন করলেও, পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের কন্নড় ভাষায় কথা বলার মতো কিছু অসম্ভাব্য ঘটনাও থাকে।
❇ ব্যক্তিগত মতামত : “মার্টিন” সিনেমাটি প্রথম থেকেই একটি ভিন্ন ধারার অ্যাকশন ফিল্মের প্রতিশ্রুতি দেয়। ধ্রুব সারজা দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জটি ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। অর্জুনের মতো তিনি প্রশংসনীয়, তবে মার্টিনের চরিত্র কিছুটা অতিরিক্ত হয়ে পড়ে, বিশেষত তার স্নার্লিং এবং গর্জনের কারণে। সিনেমার ভিজ্যুয়াল এবং অ্যাকশন দৃশ্যগুলি যদিও চিত্তাকর্ষক, তবে কখনো কখনো একটু বেশি ভারী মনে হয়। কিছু দৃশ্য এত দ্রুত চলে যায় যে দর্শকদের পক্ষে পুরো বিষয়টি উপলব্ধি করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া, সিনেমার প্রেমের গল্পটি খুব একটা গভীরতা আনতে পারেনি এবং কিছু চরিত্র শুধুমাত্র ফিলার হিসেবেই থেকে যায়।
চিত্রনাট্য ভালো হলেও, বারবার একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি দর্শকদের বিরক্ত করতে পারে। কিছু জায়গায় গল্পটা একটু জটিল মনে হয় এবং অ্যাকশনের ভারে মূল কাহিনী ঢাকা পড়ে যায়। তবে, সত্য হেগড়ের সিনেমাটোগ্রাফি এবং রবি বসরুর ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর “মার্টিন” কে কিছুটা প্রাণবন্ত করে তোলে। সামগ্রিকভাবে, “মার্টিন” সিনেমাটি একটি বিশাল স্কেলে তৈরি, যা বড় পর্দায় দেখার জন্য উপযুক্ত। তবে গল্পের গভীরতা এবং চরিত্রের বিকাশে আরও মনোযোগ দিলে এটি আরও বেশি আকর্ষণীয় হতে পারত।
পারসোনাল রেটিং ➡️৩.৫/৫ ⭐
----------- ☆ ----------- ☆ -----------
সুপার ক্লিন প্রিন্ট আছে✅
মুভি লিংক কমেন্ট অপশনে 🔜
©️ Movie Hub 🎬
হ্যাপি ওয়াচিং 💜